গ্গীক্যুভীল্হাভ্লী 1

বিচিত্র প্রবন্ধ

শ্রীরবী প্রনাথ ঠাকুর মূল ১০১ বাধাই ১॥০ টাকা

গ্রকাঁশক-_ শস্ুহাসচন্দ্র মজুমদার | ২০ কর্ণওয়ালিস্‌ স্রাটু, কলিকাতা, মজুমদার লাইত্রেরি

শপ কাক), আজ 45৮ উজ ৯৮০৭ ০৫৯০০ ৯৬ ২8০০৫ পনর চিপ রাত এত ১১৪৪

কলিকাতা, ২০ নং কর্ণওয়ালিস্‌ ট্রট দিনময়ী প্রেসে হব্চিরণ মান্না ছারা মুদ্রিত

গদাগ্রন্থাবলী, ১ম ভাগ

শ্িিল্িজ জ্রন্লজ্দ |

সন১৩১৪, ?বশাখ

চাগ্চগ্রন্থাবলশর উপস্বত্ব বোলপুর ব্রক্ষচধ্যাশ্রমকে উৎ্সর্প ককা হইয়াছে |

সুচী বিষয় লাইব্রেরি ( বালক ) মাতৈঃ ( বঙ্গদর্শন ) পাগল (& রঙ্গমঞ্চ (এ) কেকাধ্বনি (এ) বাঁজেকথা (ঞঁ) পনেরোআন! (এ), নববর্ষা (এ) পরনিন্দা ( এ) বসন্তযাপন (এ) অসম্ভবকথা ( সাধনা) .. , কুত্বগৃহ (বালক ) বাজপথ (নবজীবন ) 'ন্দির বঙ্গদর্শন ) 'ছাটনাগপুর (বালক ) ... নরোজিনীপ্রয়াণ (ভারতী ) £ রোপ-যাত্রী (সাধন! ) ... পঞ্চতৃত (8) সৌনর্য্যের সনবনধ নরনারী পলীগ্রাসে

৩০ ৩৬ 8২ ৪৭ ৫২

৬৩৬

৩৯

৮/৬ বিষয়। | পৃ মমুষা মন অখণ্ড গদ্য পদা কাব্যের তাৎপধ্য প্রাঞ্জলত! কৌতুকহান্ত কৌতুকহান্তের মাত্রা দৌন্দধাসম্বক্ধে সন্তোষ ভদ্রতার আদশ অপূর্ববরামায়ণ বৈজ্ঞানিককৌতুহল জলপথে ঘাটে স্থলে বন্ধুস্থতি-_ সতীশচন্ত্র রায় 2. 9 |

পাঠকগণ মন্থু গ্রহ পূর্বক নিপ্নলিখিত ভ্রদগ্ুলি সংশোধন করিয়া লই- বেন। অক্ষরের সামান্ত ভূলগুলির গ্রতি লক্ষা করা হইল ন!।

স্তুদ্ধ। ১০ পৃষ্ঠা শেষ ছত্রে

এই এই ভন্ঠয

১৪ পৃষ্ঠা ২৩ ছত্র

গারে সংলগ্ন

৭৪ পৃষ্টা ১৩ ছত্র

তাহা কোন প্রকাণ্ড

৭৪ পৃষ্ঠা ১৮ ছত্র

সত্য দ্রষ্টার

৮৩ পৃষ্টা ১৫ ছত্র

পাল ঝুলাইয়।

৯৮ পৃষ্ঠা শেষ ছত্র

ফিরেছু গিয়ে পিছুপি

১১২ পৃষ্ঠা ২৪ ছত্র

উদ্ধযুখী

১৬৬ পৃষ্ঠা ১৮ ছত্র

স্বাধীনতার পীড়ন

বিঘঞ্জ মুখে ভৃত্যের আনন্দহাৰা ২৩০ পৃষ্ঠা ১০ ১১ ছত্র কিন্ত কারণ হাসির

শুদধ। এন জন্য

গায়ে গায়ে সংলগ্ন কোন গ্রকাণ্ড মত্য-দ্রষ্টার

পাল ফুলাইয়া

ফিরে গিয়ে চুপিচুপি উর্দমুখ

টঁ

অধীনতার পাড়ন ভত্যের আনন্দহারা বিষণ্ন মুখে

কিন্তু হাসির কারণ

অশুদী |

২৪৪ পৃষ্ঠা ছত্র

বনবাম-- প্রতিজ্ঞাপূরণ ***

২৭৩ পৃষ্ঠা ২১ ছত্র

বহু ছেলের মা

১৭৯ পৃষ্টা “ঘাটে” প্রবন্ধের ১৫ ছত্রে

উচু

৩০৪ “সতীশচন্দ্র রায়” প্রবন্ধে ছত্রে তাহারা

২২ ছত্রে

গ্রদপটি

শুবী।

বনবাস-প্রতিজ্জ

বছু-চছেলের মা

উবু

তাহার

প্রদীপ

পয শি বনু) . টন

লাইব্রেরি।

মহাসমুদ্্ের শত বৎসরের কল্লোল কেহ বদি.এমন: করিয়া বীধিয়া রাখিতে পারিত যে সে ঘুমাইয় পড়া শিশুটির মত চুপ করিয়! থাঁকিত, তৰে সেই নীরব মহাশবের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বীধা পড়িয়া আছ। ইহারা সহসা যদি বিদ্রোহী হইয়া উঠে, নিস্তব্ধতা তাডিয়া ফেলে, অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একেবারে বাহির হইয়া আসে! হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্তা বাধা আটে তেম্নি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানব হৃদয়ের বন্তা কে বীধিয়া রাখিয়াছে!

বিহ্যাৎকে মানুষ লোহার তার দিয়া বীধিয়াছে, কিন্তু কে জানিত মানুষ শব্বকে নিঃশব্ের মধ্যে বাধিতে পারিবে ! কে জানিত সঙ্গীতকে, ধদয়ের আশাকে, জাগ্রত আত্মার আননাধবনিকে, আকাশের দৈববাণীকে সে কাগজে মুড়িয়া রাখিবে? কে জানিত মানুষ অতীতকে বর্তমানে বন্দী করিবে! অতলম্পর্শ কাল-সমুস্রের উপর কেবল এক একখানি বই দিয়া সীকো বাধিয়! দিবে |

লাইব্রেরির মধ্যে আমরা সহ পথের চৌমাধার উপরে দীড়াইয় আছি। কোনো পথ অনন্ত সমুদ্রে গিয়াছে, কোনে! পথ অনস্ত শিখরে উঠিয়ে, কোনে পথ মানৰ হৃদয়ের অতলম্পর্শে নামিয়াছে। যেষে

বিচিত্র প্রবন্ধ

দিকে ইচ্ছা ধাবমান হও, কোথাও বাধা পাইবে না। মানুষ আপনার পরিত্রাণকে এতটুকু জায়গার মধ্যে বীধাইয়! রাখিয়াছে।

শঙ্ঘের মধ্যে যেমন সমুদ্রের শব্ধ শুন] যায়, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে কি হৃদয়ের উত্থান পতনের শব্দ গুনিতেছ ? এখানে জীবিত মৃত ব্যক্তির হৃদয় পাশাপাশি একপাড়ায় বাস করিতেছে বাদ প্রতিবাদ এখানে দুই ভাইয়ের মত এক সঙ্গে থাকে সংশয় বিশ্বীস, সন্ধান আবিফার এখানে দেহে দেহে লগ্ন হইয়া বাস করে। এখানে দীর্ঘ প্রাণ স্বর্ন প্রাণ পরম ধৈর্য্য শান্তির সহিত জীবন যাত্রা নির্বাহ করিতেছে, কেহ কাহাকেও উপেক্ষা করিতেছে না

কত নদী সমুদ্র পর্বত উল্লজ্বন করিয়। মানবের এখানে আসিয়া পৌছিয়াছে-_কত শত-বৎসরের প্রান্ত হইতে এই স্বর আসিতেছে এস এখানে এস, এখানে আলোকের জন্মসঙ্গীত গান হইতেছে

অমৃত লোক প্রথম আবিষ্কার করিয়া যে যে মহাপুরুষ যে-কোনোদিন আপনার চারিদিকে মানুষকে ডাক দিয়া বলিয়াছিলেন--তোমরা সকলে অমৃতের পুত্র, তোমরা দ্রিব্যধামে বাস করিতেছ-_সেই মহাপুরুষদের কণ্ঠই সহস্র ভাষায় সহত্র বৎসরের মধ্য দিয়া এই লাইব্রেরির মধ্যে প্রতিধবনিত হুইতেছে।

এই বঙ্গের প্রান্ত হইতে আমাদের কি কিছু বলিবার নাই ? মানব- সমাজকে আমাদের কি কোনে! সংবাদ দিবার নাই? জগতের একতান সঙ্গীতের মধ্যে বঙ্গদেশই কেবল নিস্তব্ধ হইয়া থাকিবে!

আমাদের পদপ্রান্তস্থিত সমুদ্র কি আমাদিগকে কিছু বলিতেছে না?

আমাদের গঙ্গা কি হিমালয়ের শিখর হইতে কৈলাসের কোন গান বহন করিয়। আনিতেছে না? আমাদের মাথার উপরে কি তবে অনস্ত নীলাকাশ নাই ? সেখান হইতে অনন্তকালের চিরজ্যোতিত্ময়ী নক্ষত্রলিপ্রি কি কেহ মুছিয় ফেলিয়াছে?

পা সিসি সিল স্পিাসিসসিপাসিাছি রি শসা %

ম! ভৈঃ।

লািিস্সিলউিিসপসপসিামিতি উস

দেশ বিদেশ হইতে অতীত বর্তমান হইতে প্রতিদিন আমাদের কাঁছে। মানবজাতির পত্র আসিতেছে, আমরা কি তাহার উত্তরে ছুটি চার্ট চটি ডটি ইংরেজি খবরের কাগজ লিখিব! সকল দেশ অসীমকালের পটে নিজ নিজ নাম খুদিতেছে বাঁঙালীর নাম কি কেবল দরখাস্তের দ্বিতীয় পাতেই লেখ! থাকিবে ! জড় অনৃষ্টের সহিত মানবাত্বার সংগ্রাম চলিতেছে, 'সৈনিকদিগকে আহ্বান করিয়া পৃথিবীর দিকে দিকে শূক্গধবনি বাজিয়া উঠিয়াছে, আমরা কি কেবল আমাদের উঠোনের মাচার উপরকার লাউকুম্ড়া লইয়া মকদ্দম! এবং আপীল চালাইতে থাকিব !

বনুবৎসর নীরব থাকিয়! বঙ্গদেশের প্রাণ ভরিয়া উঠিয়াছে। তাহাকে আপনার ভাষায় একবার আপনার কথাটি বলিতে দাও বাঁডাঁলী কণ্ঠের সহিত মিলিয়া বিশ্বসঙ্গীত মধুরতর হইয়। উঠিবে।

১২৯২।

মা ভৈঃ।

মৃত্যু একটা প্রকাণ্ড কালো কঠিন কষ্টিপাঁথরের মত। ইহারই গায়ে কষিয়। সংসারের সমস্ত খাঁটি সৌঁণার পরীক্ষা হইয়া! থাকে।

তুমি দেশকে যথার্থ ভালবাস-_তাঁহার চরম পরীক্ষা তুমি দেশের জন্ত মরিতে পার কিনা। তুমি আপনাকে যথার্থ ভালবাস তাহারো৷ চরম পরীক্ষা। আপনার উন্নতির জন্ত প্রাণ বিসর্জন করা তোমার পক্ষে সম্ভবপর কি না।

এমন একটা! বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন ভয় পৃথিবীর মাথার উপরে যদি না ঝুলিত, তবে সত্যর্শমথ্যাকে, ছোট-বড়-মাঝারিকে বিশুদ্ধভাবে তুল! করিয়! দেখিবার কোন উপায় থাকিত না |

৪. বিচিত্র প্রবন্ধ।

এই মৃত্যুর তুলায় যে সব জাতির তৌল হুইয় গেছে, তাহার! পাস্‌- মার্কা পাইয়াছে। তাহারা আপনাদিগকে প্রমাণ করিয়াছে, নিজের কাছে পরের কাছে তাহাদের আর কিছুতেই কুস্িষ্ত হইবার কোন কারণ নাই। মৃত্যুর দ্বারাই তাহাদের জীবন পরীক্ষিত হইয়া গেছে। ধনীর যথার্থ পরীক্ষা দানে; যাহার প্রাণ আছে, তাহার যথার্থ পরীক্ষা প্রাণ দিবার শক্তিতে যাহার প্রাণ নাই বলিলেই হয়, সে-ই মরিতে কুপণত। করে।

ষে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই ; যে জয় করে, ভোগ কর! তাহাকেই সাজে যে লোক জীবনের সঙ্গে স্ুথখকে, বিলাসকে, ছুই হাতে আৰড়িয়। থাকে, স্থখ তাহার সেই স্বণিত ক্রীতদাসের কাছে নিজের সমস্ত ভাগ্ডার খুলিয়া দেয় না, তাহাকে উচ্ছিষ্টমাত্র দিয় দ্বারে ফেলিয়া রাখে আর মৃত্যুর আহ্বানমাত্র যাহারা তুড়ি মারিয়া চলিয়া যায়, চির আদূত সুথের দিকে একবার পিছন ফিরিয়া তাকায় না, স্থুথ তাহাদিগকে চায়, সুখ তাহারাই জানে যাহারা সবলে ত্যাগ করিতে পারে, তাহারাই প্রবলভাবে ভোগ করিতে পারে। যাহার! মরিতে জানে না, তাহাদের ভোগবিলাসের দীনতা-ক্ুশতা-ত্বণ্যতা গাড়িজুড়ি এবং তক্মা-চাপরাশের ছ্বারা ঢাকা পড়ে না। ত্যাগের বিলাসবিরল কঠোরতার মধ্যে পৌকরুষ আছে। যদি স্বেচ্ছায় তাহ বরণ করি, তবে নিজেকে লজ্জা হইতে বাচাইতে পারিব।

এই ছুই রাস্তা আছে--এক ক্ষত্রিয়ের রাস্তা, আর এক ব্রাঙ্গণের রাপ্তা। যাহার! মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে, পৃথিবীর স্ুখসম্পদ তাহাদেরি। যাহারা, জীবনের সুখকে অগ্রাথ করিতে পারে, তাহাদের আনন মুক্তির এই ছুয়েতেই পৌরুষ।

গ্রাণটা দিব, কথা বলা যেমন শক্ত-_নুখটা চাই না, কথা বলা তাহ! অপেক্ষ! কম শক্ত নয়। পৃথিবীতে যদি মনুষ্যত্বের গৌরবে মাখা

মা ভৈঃ। /€

তুলিয়া চলিতে চাই, তবে এই ছুয়ের একটা! কথা যেন বলিতে পারি। হয় বীর্যের সঙ্গে বলিতে হইবে__পচাই !” নয়, বীর্য্যেরই সঙ্গে বলিতে হইবে-_“চাই না!” পচাই” বলিয়া কাদিব, অথচ লইবার শক্তি নাই; “চাই না” বলিয়া পড়িয়া থাকিব, কারণ চাহিবার উদ্ভম নাই ; এমন ধিক্কার বহন করিয়াও যাহারা বাচে, যম তাহাদিগকে নিজগুণে দয়! করিয়া না সরাইয়া লইলে তাহাদের মরণের আর উপায় নাই।

বাঙালি আজকাল লোকসমাজে বাহির হইয়াছে। মুস্কিল, এই যে, জগতের মৃত্যুশীলা হইতে তাহার কোন পাঁস নাই। সুতরাং তাহার কথাবার্তা যতই বড় হোক, কাহারো কাছে সে খাতির দাবী করিতে. পারে না। এইজন্ত তাহার আস্ষীলনের কথায় অত্ন্ত বেস্থর এবং নাকিস্তুর লাগে। না মরিলে সেটার সংশোধন হওয়া শক্ত

পিতামহের বিরুদ্ধে আমাদের এইটেই সব চেয়ে বড় অভিযোগ সেই আজ তাহার! নাই, তবে ভালমন্দ কোন-একটা অবসরে তাহারা রীতিমত মরিলেন না কেন 1 তহীরা যদি মরিতেন, তবে উত্তরাধিকার- স্ত্রে আমরাও নিজেদের মরিবার শক্তিসম্বন্ধে আস্থা রাখিতে পারিতাম। তাহার! নিজে না খাইয়াও ছেলেদের অন্নের সঙ্গতি রাখিয়া গেছেন, গুধু মৃত্যুর সঙ্গতি রাখিয়া যান নাই। এত-বড় ছূর্ভাগ্য, এত-বড় দীনতা আর কি হইতে পারে!

ইংরেজ আমাদের দেশের যোদ্ধৃজাঁতিকে ডাকিয়া বলেন, “তোমরা! লড়াই করিয়াছ-__ গ্রীণ দিতে জান) যাহারা কখনো! লড়াই করে নাই, কেবল বকিতে জানে, তাহাদের দলে ভিড়িয়া তোমরা কন্গ্রেস্‌ ব্ুরিতে যাইবে 1”

তর্ক করিয়া ইহার উত্তর দেওয়া যাইতে পারে। কিন্তু তর্কের বারা নাজ্জা যায় না। বিশ্বকম্ধা। নৈয়ায়িক ছিলেন না, সেইজন্য পৃথিবীতে অযৌক্তিক ব্যাপার পদে পর্দে দেখিতে পাওয়া যার়। সেইজন্ত

বিচিত্র প্রবন্ধ

জা খিক ঈপদিপাসসিপািলাসিাাসটিপিপাসপসদিরিসপসিলা দিসি তাপ পাসিপিসপসিপাস্পিস্পসিলাসপাসিলী সপ স্পিসিপাস্পিস্পসপিিপাস্পস্পিস্পিসিপাস

যাহার! মরিতে জানে না, তাহারা শুধু যুদ্ধের সময়ে নহে, শাস্তির সময়েও পরস্পর ঠিক সমানভাবে মিশিতে পারে না) যুক্তিশান্ত্রে ইহা অসঙ্গত, অর্থহীন, কিন্তু পৃথিবীতে ইহ সত্য। অতএব, আরাম-কেদীরায় হেলান্‌ দিয়া পোলিটিকাল্‌ নুখস্বপ্নে যখন কল্পনা করি--সমস্ত ভারতবর্ষ এক হইয়া মিশিয়া যাইতেছে, তখন মাঝখানে এই একট! ছুশ্িস্তা উঠে যে, বাঙালির সঙ্গে শিখ আপন ভাইয়ের মত মিশিবে কেন? বাঙালি বি.-এ. এবং এম্‌.-এ. পরীক্ষায় পাস্‌ হইয়াছে বলিয়া? কিন্তু যখন তাহার চেয়ে কড়া পরীক্ষার কথা উঠবে, তখন সার্টিফিকেট বাহির করিব কোথা হইতে? শুদ্ধমাত্র কথায় অনেক কাঁজ হয়, কিন্তু সকলেই জানেন চিড়ে ভিজাইবার সময় কথা দধির স্থান অধিকার করিতে পারে না) তেমনি যেখানে রক্তের প্রয়োজন, সেখানে বিশুদ্ধ কথা তাহার অভাব পূরণ করিতে অশক্ত। অথচ যখন ভাবিয়! দেখি-_-আমাদের পিতামহীরা স্বামীর সহিত সহমরণে মরিয়াছেন, তখন আশ! হয়-_মরাঁটা তেমন কঠিন হইবে না। অবশ্ত, তাহারা সকলেই স্বেচ্ছাপূর্বক মরেন নাই। কিন্তু অনেকেই যে মৃত্যুকে শ্বেচ্ছীপূর্বক বরণ করিয়াছেন, বিদেশীরাও : তাহার সাক্ষ্য দিয়াছেন। কোন দেশেই লোকনিবিশেষে নির্ভয়ে স্বেচ্ছায় মরে না। কেবল ত্বরর একদল মৃত্যুকে যথার্থভাবে বরণ করিতে পারে-_-বাকি সকলে কেহ ৰা দলে ভিড়িয়া মরে, কেহ বা! লজ্জায় পড়িয়া মরে, কেছ বা দস্তরের তাড়নায় জড়ভাবে মরে। মন হইতে ভয় একেবারে যায় না। কিন্তু ভয় পাইতে নিজের কাছে, পরের কাছে লজ্জা কর! চাই। শিগুকাল হুইতে ছেলেদের এমন শিক্ষা ঘেওয়৷ উচিত, যাহাতে ভয় পাইলেই তাহারা অনায়াসে অকপটে '্বীকার না করিতে পারে। এমন শিক্ষা পাইলে লোকে জজ্জায় পড়িয়া

| 1 | এনা সপ ৯০৯ পালি পছ লাই পা পাপাপািপাি লাস সপি্পিসপাসপস্পস্পসিল স্পা পাপা িসিলা * পপ সপি্মিপরিপরি

সাহস করে। যদি মিথ্যা গর্ঝ করিতে হয়, তবে, আমার সাহস আছে, এই মিথ্যাগর্বই সব চেয়ে মার্জনীয়। কারণ, দৈন্যই বল, অজ্ঞতাই বল, মুঢ়তাই বল, মন্ুষ্যচরিত্রে ভয়ের মত এত-ছোট আর কিছুই নাই। ভয় নাই বলিয়া যে লোক মিথ্যা অহঙ্কারও করে, অন্তত তাহার লজ্জা আছে, সদ্‌গুণটারও প্রমাণ হয়।

নির্ভীকতা যেখানে নাই, সেখানে এই লজ্জার চষ্চা করিলেও কাজে লাগে। সাহসের ন্যায় লজ্জাও লোককে বল দেয়। লোৌকলজ্জায় প্রাণবিসর্জন করা কিছুই অসম্ভব নয় |

অতএব আমাদের পিতামহীর! কেহ কেহ লোকলজ্জাতেও প্রাণ দিয়াছিলেন, কথা স্বীকার করা যাইতে পারে। প্রাণ দিবার শক্তি তীহাদের ছিল, _লজ্জীয় হোক, প্রেমে হোক্‌, ধর্মোৎসাহে হোক, প্রাণ তাহার! দিয়াছিলেন, কথা আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে।

বস্তুত দল বীধিয়া মর! সহজ। একাঁকিনী চিতাগ্রিতে আরোহণ করিবার মত বীরত্ব যুদ্ধক্ষেত্রে বিরল।

বাংলার সেই প্রাণবিসর্জজনপরীয়ণ| পিতামহীকে আজ আমরা প্রণাম করি। তিনি যে জাতিকে স্তন দিয়াছেন, স্বর্গে গিয়৷ তাহাকে বিস্থৃত হইবেন না। হে আধ্যযে, তুমি তোমার সন্তানদিগকে সংসারের চরমভয় হইতে উত্তীর্ণ করিয়। দাও! তুমি কখনো৷ স্বপ্নেও জান নাই যে, তৌমার আত্মবিস্ৃত বীরত্ব দ্বারা তুমি পৃথিবীর বীরপুরুষদিগকেও লজ্জিত করিতেছ। তুমি ঘেমন দিবাবসানে সংপারের কাজ শেষ করিয়! নিঃশবে পতির পালস্কে আরোহণ করিতে,-_দীম্পত্যলীলার অব্ূমানদিনে সংসারের কাধ্ধযক্ষেত্র হইতে বিদায় লইয়া তুমি তেমনি, সহজে বধূবেশে সীমস্তে মঙ্গলসিন্দূর পরিয়া পতির চিতায় আরোহণ করিম়াছ। মৃত্যুকে ভূমি সুন্দর করিয়াছ, গুভ করিয়াছ, পবিত্র করিয়াছ_চিতাকে তুমি বিবাহশধ্যার গ্ভায় আনন্ধময়, কল্যাণময় করিয়াছ। বাংলাদেশে পাবক

বিচিত্র প্রবন্ধ

রই গবি্র জীবনাহিতিারা গৃত হইয়াছে- আজ হইতে এই কথা জামরা শরণ করিব। আমাদের ইতিহাস নীরব, কিন্তু অগ্নি আমাদের

ঘরে ঘরে তোমার বাণী বহন করিতেছে তোমার অক্ষয়-অমর

শ্মরণনিলয় বলিয়া সেই অগ্নিকে, তোমার সেই অস্তিমবিবাহের জ্যোতিঃ-

চৃত্রময় অনস্ত পষ্টবসনখানিকে আমরা প্রত্যহ প্রণাম করিব। সেই অগ্নিশিখা তোমার উদ্ভতবান্রূপে আমাদের প্রত্যেককে আশীর্বাদ করুক

মৃত্যু যে কত সহজ, কত উজ্জ্বল, কত উন্নত, হে চিরনীরব স্বর্গবাসিনি, অগ্নি আমাদের গৃহপ্রাঙ্গণে তোমার নিকট হইতে সেই বার্তা বহন করিয়া অভয়ঘোষণা করুকৃ!

১৩০৯।

পাগল

পশ্চিমের একটি ছোট সহর। সম্মুখে বড়রাস্তার পরপ্রাস্তে খোড়ো চালগুলার উপরে পাঁচ-ছয়টা তালগাছ বোবার ইঙ্লিতের মত আকাশে উঠিয়াছে, এবং পোড়ো বাড়ীর ধারে প্রাচীন তেঁতুলগাছ তাহার লঘুচিন্বণ ঘন পল্পবভার, সবুজ মেঘের মত, স্তূপে স্তপে স্ফীত করিয়া রহিয়াছে। চালশুন্ত ভাঙা ভিটার উপরে ছাগছানা চরিতেছে। পশ্চাতে মধ্যাহ্ব- আকাশের দিগন্তরেখা পর্য্স্ত বনশ্রেণীর শ্ঠামলতা

আজ এই সহরটির মাথার উপর হইতে বর্ষা হঠাৎ তাহার কালে অবগ্ুঞ্ঠন একেবারে অপসারিত করিয়া দিয়াছে।

আমার অনেক জরুরী লেখা পড়িয়া আছে-_তাহার! পড়িয়াই রহিল। জানি, তাহা ভবিষ্যতে পরিতাপের কারণ হইবে; তা৷ হউক্‌, সেটুকু ্বীকার করিয়া লইতে হইবে। পূর্ণতা কোন্‌ মৃত্তি ধরিয়া হঠাৎ কখন্‌

'পাঁগল।

আপনার আতাস দিয়া বায়, তাহা আগে হইতে কেহ জানিয়া প্রস্তুত হইয়া থাকিতে পারে নাকিন্ত যখন সে দেখ! দিল, তখন তাহাকে 'ঁধুহাতে অভার্থনা করা যায় না। তখন লাভক্ষতির আলোচনা যে করিতে পারে, সে খুব হিসাবী লোক-_সংসারে তাহার উন্নতি হইতে থাকিবে-__কিন্ক হে নিবিড় আযাঢ়ের মাঝখানে একদিনের জ্যোতির্য় অবকাঁশ, তোমার শুভ্র মেঘমাল্যথচিত ক্ষণিক অভ্যুদয়ের কাছে আমার সমস্ত জরুরী কাজ আমি মাটি করিলাম_-আজ আমি ভবিষ্যতের হিসাব করিলাম না--আজ আমি বর্তমানের কাছে বিকাইলাম !

দিনের পর দিন আসে, আমার কাছে তাহারা কিছুই দাবী করে না)-_তখন হিসাবের অঙ্কে ভূল হয় না, তখন সকল কাজই সহজে করা যাঁয়। জীবনট! তখন একদিনের সঙ্গে আর-একদিন, এক কাজের সঙ্গে আর-এক কাজ দিব্য গীঁথিয়া-গাগিয়া অগ্রসর হয়, সমস্ত বেশ সমানভাবে চলিতে থাকে কিন্তু হঠাৎ কোনো খবর ন! দিয়া একটা বিশেষ দিন সাতসমুদ্রপারের রাজপুত্রের মত আসিয়া উপস্থিত হয়, প্রতিদিনের সঙ্গে তাহার কোনো মিল হয় না_-তখন মুহূর্তের মধ্যে এতদ্দিনকাঁর সমস্ত “খেই” হারাইয়া যায়--তখন বীধা-কাজের পক্ষে বড়ই মু্িল ঘটে।

কিন্ত এই দিনই আমাদের বড়দিন ;__-এই অনিয়মের দিন, এই কাজ নষ্ট করিবার দিন। যে দিনটা আসিয়! আমাদের 'প্রতিদিনকে বিপর্য্যস্ত করিয়া! দেয়-_সেই দিন আমাদের আনন্দ। অন্তদিনগুলো বুদ্ধিমানের দিন, সাবধানের দিন,_আর এক-একটা দিন পূরা পাগুলামির কাছে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করা।

পাগলশব্টা আমাদের কাছে ত্বণার শব নহে। ক্ষ্যাপা নিমাইচক আমর! ক্ষ্যাপ বলিয়া ভক্তি করি-__-আগাদের কষা দেবতা মহেঙ্বর | প্রতিভা ক্ষ্যাপামির একপ্রকার বিকাশ; কি না, কথ! ইয়া সুরোপে

নি বিচিত্র প্রবন্ধ

পিট পিপি পাপ

পিপিপি পা পিক

বাদাস্থবাদ চলিভেছে--কিন্তু আমরা কথা স্বীকার করিতে কুিত হই না। প্রতিভা ক্ষ্যাপামি বই কি, তাহা নিয়মের ব্যতিক্রম, তাহ! উলটুপালট্‌ করিতেই আদে--তাহ! আজিকার এই খাপ্ছাড়া, সৃটিছাড়া টিনের মত হঠাৎ আমিয়া যত কাজের লোকের কাজ নঙ করিয়া দিয়া যায়-_কেহ ব! তাহাকে গালি পাঁড়িতে থাকে, কেহ বাঁ তাহাকে লঙইয়া, নাচিয়া-কুঁদিয়া অস্থির হইয়া উঠে!

ভোলানাথ, যিনি আমাদের শাস্ত্রে আননময়, তিনি সকল দেবতার, মধ্যে এমন খাপছ্ছাড়ী! দেই পাগল দিগম্বরকে আমি আঁজিকার এই ধৌত নীলাকাশের রৌদ্রপ্লীবনের মধ্যে দেখিতেছি। এই নিবিড় মধ্যাহ্রের হৎপিণ্ডের মধ্যে তাহার ডিমিডিমি ডমরু বাজিতেছে। আজ মৃত্যুর উলঙ্গ শুত্রমূর্তি এই কর্মনিরত সংসারের মাঝখানে কেমন নিস্তত্ধ হইয়া দাড়াইয়াছে !--সুন্দর শাস্তচ্ছবি !

ভোলানাথ, আমি জানি, তুমি অদ্ভূত। জীবনে ক্ষণেক্ষণে অদ্ভুত রূপেই তুমি তোমার ভিক্ষার ঝুলি লইয়! ্লাড়াইয়াছ একেবারে হিসাব- কিতাৰ নাস্তানাবুদ করিয়! দিয়াছ। তোমার নন্দিভৃঙ্গির সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। আজ তাহারা তৌমার দিদ্ধির প্রসাদ যে একফৌটা' আমাঁকে দেয় নাই, তাহ! বলিতে পারি না ইহাতে আমার নেশা ধরিয়াছে, সমস্ত ভগুল হইয়া গেছে_-আজ আমার কিছুই গোছালো নাই।

আমি জানি, সুখ প্রতিদিনের সামগ্রী, আনন্দ গ্রত্যহের অতীত স্থথ শুরীরের কোথাও পাছে ধুলা লাগে বলিয়া সঙ্কুচিত, আনন্দ ধুলায় গড়াগড়ি দিয়। নিখিলের সঙ্গে আপনার ব্যবধান ভাঙিয়া চুরমার করিয়া দেয়--এইজন্য সুখের পক্ষে ধূ্গা হেয়, আননোর পক্ষে ধুল! ভূষণ সুখ» কিছু পাছে সারায় বলিয়া ভীত, আনন্ধ, যথাসর্বন্ক বিতরণ করিয়া পরিতৃপ্ত; এই খ্রইজগ্ত সুখের পক্ষে রিষ্কতা দারিদ্র্য, আননোর পক্ষে

পাগণ। ১১ দারিত্র্যই পথ্য | লুখ, ব্যবস্থার বন্ধনের মধ্যে আপনার দ্রীরুকে, সতর্বভাবে রক্ষ! করে ; আনন্দ, সংহারের মুক্তির মধ্যে আপন সৌনর্ধ্যকে উদারভাবে প্রকাশ করে; এইজন্ত সুখ বাহিরের নিয়মে বন্ধ, আনন্দ সে বন্ধন ছিন্ন করিয়া আপনার নিয়ম আপনিই হৃটি করে। হখ, ন্বধাটুকুর জন্ তাকাইয় বসিয়া থাকে ; আনন্দ, ছুঃখের বিষকে অনায়াসে পরিপাক করিয়া! ফেলে,_-এইজন্ত, কেবল ভালটুকুর দিকেই সখের পক্ষপাত__আর, আনন্দের পক্ষে ভালমন্দ দইই সমান। এই সৃষ্টির মধ্যে একটি পাগল আছেন, যাহা-কিছু অভাবনীয়, তাহ!

থামথ! তিনিই আনিয়া উপস্থিত করেন তিনি কেন্দ্রীতিগ, “সেটি, ফ্যুগল্”

_তিনি কেবলি নিখিলকে নিয়মের বাহিরের দিকে টানিতেছেন।

নিয়মের দেবতা! সংসারের সমস্ত পথকে পরিপূর্ণ চক্রপথ করিয়। তুলিবার

চেষ্টা করিতেছেন, আর এই পাগল তাঁহাকে আক্ষিপ্ত করিয়!

কুগুলী আকার করিয়া তুলিতেছেন। এই পাগল আপনার খেয়ালে সরীক্যপের বংশে পাঁধী এবং বানরের বংশে মানুষ উদ্ভাবিত করিতেছেন

যাহা হইয়াছে, যাহা আছে, তাহাকেই চিরস্থায়িরূপে রক্ষা করিবার

জন্য সংসারে একট! বিষম চেষ্টা রহিয়াছে__ইনি সেটাকে ছারখার

করিয়া-দিয়!, যাহা নাই, তাহারই জন্য পথ করিয়া দিতেছেন। ইহার

হাতে বাঁশী নাই, সামন্ত সুর ইহার নহে, পিনাক বাজিয়া উঠে,

বিধিবিহিত যজ্ঞ নষ্ট হইয়! যায়, এবং কোথ। হইতে একটি অপূর্বতা

উড়িয়া'আসিয়া জুড়িয়া বসে। পাগলও ইহারি কীত্তি এবং গ্রতিভাও ইহারি কীর্তি। ইহার টানে যাহার তাঁর ছি'ড়িয়া যায, সে হয় উন্মাদ, আর যাহার তার অস্রুতপূর্ব স্বরে বাজিয়া উঠে, সে হইল প্রতিভাবান! পাগলও দশের বাহিরে, প্রতিভাবান্ও তাই-_কিন্ক পাগল বাছিরেই থাকিয়া! যায়, আর প্রতিভাবান দশকে একাদশের কে ঠায় টানিয়া-আনিয়! দশের অধিকার বাড়াইয়া দেঁন।

১২ বিচিত্র প্রবন্ধ

লাস সাপটি লো

শুধু পাগল নয়, শুধু প্রতিভাবান্‌ নয়, আমাদের প্রতিদিনের একরপ্ত তুচ্ছতার মধ্যে হঠাৎ ভয়ঙ্কর, তাহাঁর জলজ্জরটাকলাঁপ লইয়া, দেখা দেয়। সেই ভয়ঙ্কর, প্রকৃতির মধ্যে একটা অপ্রত্যাশিত উৎপাত, মান্থুষের মধ্যে একট! অসাধারণ পাপ আকারে জাগিয়৷ উঠে। তখন কত ম্থখমিলনের জাল লণ্ডভও, কত হৃদয়ের সম্বন্ধ ছারখার হইয়া যায়! হে রুদ্র, তোমার ললাটের যে ধবকধ্বক অগ্মিশিখার স্ফুলিঙ্গমাত্রে অন্ধকারে গৃহের প্রদীপ জলিয়। উঠে--সেই শিখাতেই লোকালয়ে সহশ্রের হাহীধ্বনিতে নিশীথ- রাত্রে গৃহদাহ উপস্থিত হয়। হায়, শত্তৃু, তোমার নৃতো, তোমার দক্ষিণ বাম পদক্ষেপে সংসারে মহাপুণ্য মহাপাপ উৎক্ষিপ্ত হইয়া উঠে। সংসারের উপরে প্রতিদিনের জড়হস্তক্ষেপে যে একটা সাঁমান্ততার একটানা আবরণ পড়িয়া যায়, ভাঁলমন্দ ছুয়েরই প্রবল আঘাতে তুমি তাহাকে ছিন্ন- বিচ্ছিন্ন করিতে থাক প্রাণের প্রবাহকে অপ্রত্যাশিতের উত্তেজনায় ক্রমাগত তরঙ্গিত করিয়া শক্তির নব নব লীলা সৃষ্টির নব নব মৃষ্তি গ্রকাশ করিয়া তোল। পাগল, তোমার এই রুদ্র আনন্দে যোগ দিতে আমার ভীত হ্রদয় যেন পরাজ্মুখ নাহয়! সংহারের রক্তআকাশের মাঝখানে তোমার রবিকরোদ্দীপ্ত তৃতীয়নেত্র যেন ফুবজ্যোতিতে আমার অন্তরের অন্তরকে উদ্ভীদিত করিয়া তোলে! নৃত্য কর, হে উন্মাদ, নৃত্য কর! সেই নৃত্যের ঘূর্ণবেগে আকাশের লক্ষকোটিযৌজনব্যাপী উজ্জ্বলিত নাহারিকা ষখন ভ্রাম্যমাণ হইতে থাকিবে-তথন আমার বক্ষের মধ্যে ভয়ের আক্ষেপে যেন এই রুত্রসঙ্গীতের তাল কাটিয়া নাযায়! হে মৃত্যু্যয়, আমাদের সমস্ত ভাল এবং সমস্ত মন্দের মধ্যে তোমারই জয় হউক! আমাদের এই ক্ষ্যাপাদেবতার আবির্ভাব যে ক্ষণে ক্ষণে, তাহা নহে-_ স্থষ্টির মধ্যে ইছার পাগ্লামি অহরহ লাগিয়াই আছে--আমরা ক্ষণে ক্ষণে 'তাহার পরিচয় পাই মাত্র। ব্সহরহই জীবনকে মৃত্যু নবীন করিতেছে,

পাগল। ১৩.

তালকে মন্দ উজ্জল করিতেছে, তুচ্ছকে অভাবনীয় মূল্যবান করিতেছে যখন পরিচয় পাই, তখনি রূপের মধ্যে অপরূপ, বন্ধনের মধ্যে মুক্তির, প্রকাশ আমাদের কাছে জাগিয়া উঠে। .

আজিকার এই মেঘোম্ুস্ত আলোকের মধ্যে আমার কাছে সেই অপরূপের মৃত্তি জাগিয়াছে ! সম্মুখের রাস্তা, খোড়োচাল'দেওয়া মুদীর দৌকান, এঁ ভাঙ| ভিটা, সরু গলি, গাছপালাগুলিকে প্রতি- দিনের পরিচয়ের মধ্যে অত্যন্ত তুচ্ছ করিয়। দেখিয়াছিলাম। এইজন্ত উহার আমাকে বন্ধ করিয়া ফেলিয়াছিল--রোজ এই কটা জিনিষের, মধ্যেই নজরবন্দী করিয়া! রাখিয়াছিল। আজ হঠাৎ তুচ্ছতা একেবারে চলিয়৷! গেছে আজ দেখিতেছি, চির-অপরিচিতকে এতদিন পরিচিত বলিয়া দেখিতেছিলাম, তাল করিয়া দেখিতেছিলামই "না আজ এই যাহা-কিছু, সমস্তকেই দেখিয়া শেষ করিতে পারিতেছি না। আজ দেই সমস্তই আমার চারিদিকে আছে, অথচ তাহারা আমাকে আটক করিয়া রাখে নাই--তাহারা প্রত্যেকেই আমাকে পথ ছাড়িয়! দিয়াছে আমার পাগল এইথানেই ছিলেন,__সেই অপূর্ব, অপরিচিত, অপরূপ, এই মুদির দোকানের খোঁড়োচালের শ্রেণীকে অবজ্ঞা করেন নাই--কেবল, যে আলোকে তাহাকে দেখা যায়, সে আলোক আমার চোখের উপরে ছিল না। আজ আশ্চর্য এই যে, সন্মুথের দৃশ্ত, কাছের জিনিষ" আমার কাছে একটি বহুম্থদুরের মহিমা লাভ করিয়াছে উহার সঙ্গে গোৌরীশঙ্করের তুষারবেষ্টিত দুর্গমতা, মহাসমুদ্রের তরলচঞ্চল দুত্তরত| আপনাদের সঙ্জাতিত্ব জাপন করিতেছে

এম্নি করিয়া হঠাৎ একদিন জানিতে পারা যায়, যাহার সঙ্গে * অত্যন্ত ঘরকরপ। পাতাইয় বসিয়াছিলাম, সে আমার ধরকন্নার বাহিরে।. আছি' যাহাকে গ্রতিমুহূর্তের বীধা-বরাদ্দ বলিয়া নিতান্ত নিশ্চিন্ত হইয়া ছিলাম, তাহার মত দুর্লভ ছুরায়ত্ত জিনিষ কিছুই নাই। আঙ্গি

১৪ বিচিত্র প্রবন্ধ

লিন্পাস্টিলাসদিলী ৯৫ ৯১৯ মিলা পিপি পোস্ত পনি রা পসরা পো বাপ্পি পাসপািিসপা লামপাসাস্টিপী পপি

যাহাকে ভালরূপ জানি মনে করিয়৷ তাহার চারিদিকে সীমানা! আঁকিন্া- দিয় খাতিরজ্জম| হইয়া বসিয়। ছিলাম, সে দেখি, কখন্‌ একমুহুর্তের মধ্যে সমস্ত সীমানা পার হইয়৷ অপূর্ধবরহস্তময় হইয়া উঠিয়্াছে। যাহাঁকে নিয়মের দিক্‌ দিয়া, স্থিতির দিক্‌ দিয়া বেশ ছোটোখাটো, বেশ দস্তরসঙ্গত, বেশ আপনার বলিয়াই বোধ হইয়াছিল, তাহাকে ভাঙনের দিক্‌ হইতে, শশানচারী পাগলের তরফ হইতে হঠাৎ দেখিতে পাইলে মুখে আর বাক্য সরে না-_-আশ্তর্য্ ! ওকে! যাহাকে চিরদিন জানিয়াছি, সেই একে! যে একদিকে ঘরের, সে আর-একদিকে অন্তরের, ষে একদিকে কাজের সে আর-একদিকে সমস্ত আবশ্তকের বাহিরে, যাহাকে একদিকে স্পর্শ করিতেছি, সে আর-একদিকে সমস্ত আয়ত্ের অতীত--যে একদিকে সকলের সঙ্গে বেশ খাপ্‌ খাইয়া গিয়াছে, সে আর-একদিকে ভয়ঙ্কর থাপছাড়া, আপনাতে আপনি !

প্রতিদিন ধাহাকে দেখি নাই, আজ তাহাকে দেখিলাম, প্রতিদিনের হাত হইতে মুক্তিলাভ করিয়া বাচিবাম। আমি ভাবিতেছিলাম, চারিদিকে পরিচিতের বেড়ার মধ্যে প্রাত্যহিক নিয়মের দ্বারা আমি বীধা_-আজ দেখিতেছি, মহা অপুর্যের কোলের মধ্যে চিরদিন আমি খেলা করিতেছি। আমি ভাবিয়াছিলাম, আপিসের বড়সাহেবের মত অত্যন্ত "একজন স্ুুগন্তীর হিসাবী লোকের হাতে পৃড়িয়া সংসারে প্রত্যহ আঁক পাঁড়িয়া বাইতেছি-আজ সেই বড় সাহেবের চেয়ে যিনি বড়, সেই মন্ত বেহিসাবী পাগলের বিপুল উদার অট্রহাস্ত জলে-স্থলে-আকাশে সপ্তলোক ভেদ করিয়! ধ্বনিত শুনিয়া হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলাম। আমার খাতাপত্রৎসমস্ত রহিল! আমার জরুরি-কাঁজের বোঝা স্ৃষ্টিছাড়ার পায়ের কাছে ফেলিয়। দিলাম_-তীহার তাগুবনৃত্যের আঘাতে তাহা চু্ণচর্ণ হইয়া ধুলি হইয়া উড়িয়া যাক্‌!

. ১৩১১।

রজমব্ড।

ভরতের নট্যিশান্ত্ে নাট্যমঞ্চের বর্না আছে। তাহাতে দৃশ্তপটের কোন উল্লেখ দেখিতে পাই না। তাহাতে যে বিশেষ ক্ষতি হইয়াছিল, এরূপ আমি বোধ করি নী।

কলাবিস্তা যেখানে একেশ্বরী, সেইথানেই তাহীর পূর্ণগৌরব। সতীনের সঙ্গে ঘর করিতে গেলে তাহাকে খাটো হইতেই হইবে। বিশেষত সতীন যদি গ্রবল হয়। রাষায়ণকে যদি সুর করিয়া পড়িতে হয়, তবে আদি- কাঁও হইতে উত্তরকাও পর্য্যন্ত সে স্ুরকে চিরকাল সমান একঘেয়ে হইয়| থাকিতে হয়; রাগিণী-হিসাবে সে বেচারার ফোনকালে পদোন্নতি ঘটে না। যাহা উচ্চদরের কাব্য, তাহা আপনার সঙ্গীত আপনার নিয়মেই জোগাইপা থাকে, বাহিরের, সঙ্গীতের সাহাধ্য অবজ্ঞার সঙ্গে উপেক্ষা করে। যাহা উচ্চ অঙ্গের সঙ্গীত, তাহা আপনার কথা আপনার নিয়মেই বলে) তাহা কথার জন্ত কালিদাস-মিল্টনের মুখাপেক্ষা করে না__-তাহা নিতান্ত তুচ্ছ তোম্তানা-নানা লইয়াই চমৎকার কাঁজ চালাইয়| দেয়। ছবিতে) গানেতে, কথায় মিশীইয়া ললিতকলার একটা বারোয়ারি ব্যাপার করা যাইতে পাঁবে-_কিস্ত মে কতকটা! খেলা-হিসাবে-_তাহা হাটের জিনিষ-_তাহাকে রাজকীয় উৎসবের উচ্চ আসন দেওয়া যাইতে পারে না।

কিন্ত শ্রাব্যকাব্যের চেয়ে দৃশ্তকাব্য স্বভাবতই কতকটা পরাধীন বটে। বাহিরের সাহায্যেই নিজেকে সার্থক করিবার জন্য সে বিশেষভার্বে সথষ্ট। সেষে অভিনয়ের জন্ত অপেক্ষা করিয়া আছে, কথা তাহাকে স্বীকার করিভেই হয়। ্‌

আমরা কথা শ্বীকার করি না। সাধবী স্ত্রী যেমন স্বামীকে ছাড়া

১৬ বিচিত্র প্রবন্ধ

শসটিলাস্মিপীস্টিপাপাসপিসসসি পাস্তা

আর কাহাকেও চায় না, তাল কাব্য তেমনি ভাবুক ছাড়া আর কাহারে অপেক্ষা করে না। সাহিত্য পাঠ করিবার সময় আমর! সকলেই মনে, মনে অভিনয়, করিয়া থাকি-_-সে অভিনয়ে যে কাব্যের সৌন্দর্য্য খোলে না, সে কাব্য কোন কবিকে যশস্বী করে নাই।

বরঞ্চ কথা বলিতে পার যে, অভিনয়বিস্তা নিতান্ত পরাশ্রিত। ।. সে অনাথা নাটকের জন্য পথ চাহিয়৷ বসিয়া থাকে নাটকের গৌরব অবলম্বন করিয়াই সে আপনার গৌরব দেখাইতে পারে।

স্ত্রণ স্বামী যেমন লোকের কাছে উপহাস পায়, নাটক তেমনি যদি অভিনয়ের অপেক্ষ। করিয়া আপনাকে নানাদিকে খর্ব করে, তবে সেও সেইরূপ উপহাসের যোগ্য হইয়া উঠে। নাটকের ভাবখান। এইরূপ হুওয়। উচিত যে,_“আমার যদি অভিনয় হয় হউক্‌, না হয়ত অভিনয়ের পোড়াকপাল-_আমার কোনই ক্ষতি নাই 1”

যাহাই হউক, অভিনয্বকে কাব্যের অধীনতা স্বীকার করিতেই হয়। কিন্তু তাই বলিয়া সকল কলাবিগ্ভারই গোলামি তাহাকে করিতে হইবে, এমন কি কথা আছে! যদ মে আপনার গৌরব রাখিতে চায়, তবে, যেটুকু অধীনত! তাহার আত্মগ্রকাশের জন্ত নিতাত্তই না৷ হইলে নয়, সেই- টুকুই সে যেন গ্রহণ করে ;-_তাহার বেশি সে যাহা কিছু অবলম্বন করে, তাহাতে তাহার নিজের অবমানন! হয়।

ইহা বল! বাহুল্য, নাট্যোক্ত কথাগুলি অভিনেতার পক্ষে নি আবন্তক কবি তাহাকে যে হাদির কথাটি জোগান, তাহা লইয়াই তাহাকে হাসিতে হয়; কবি তাহাকে যে কান্নার অবসর দেন, তাহা লইয়াই কীরদিয়! সে দর্শকের চোখে জল: টানিয়া আনে। কিন্তু ছবিটা! কেন? তাহা অভিনেতার পশ্চাতে ঝুলিতে থাকে--অভিনেত৷ তাহাকে সষ্টি করিয়! তোলে না; তাহা আঁকামাত্র ;- আমার মতে. তাহাতে অভিনেতার, অক্ষমতা, কাপুরুষতা৷ গ্রকীশ' পার।' এইক্ধপে যে উপাকে,

রলমঞ্চ। * ১৯৭

ািলাসিসিশসিল সিএ

দর্শকদের মনে বিভ্রম উৎপাদন করিয়। সে নিজের কাজকে সহজ করিয়। তোলে, তাহা চিত্রকরের কাছ হইতে ভিক্ষ। করিয়া আনা

তা ছাড়া যে দর্শক তোমার অভিনয় দেখিতে আসিয়াছে, তাহার কি নিজের সম্বল কাঁণা-কড়াও নাই? সেকি শিপু? বিশ্বাস করিয়া তাহার উপরে কি কৌন বিষয়েই নির্ভর করিবার জে। নাই? যদি তাহা সত্য হয়, তবে ভবল্‌ দাম দিলেও এমন সকল লোককে টিকিট বেচিতে নাই।

আদালতের কাছে সাক্ষ্য দেওয়া নয় যে, প্রত্যেক কথাটাকে হলফ করিয়া প্রমাণ করিতৈ হইবে? যাহারা বিশ্বাস করিবার জন্ত-_ আনন্দ করিবার জন্ত আসিয়াছে, তাহাদিগকে এত ঠকাইবার আয়োজন কেন? তাহারা নিজের কল্পনাশক্তি বাড়ীতে চাবি বন্ধ করিয়া আসে নাই। কতক তুমি বৌঝাইবে, কতক তাহারা বুঝিবে, তোমার সহিত তাহাদের এইরূপ আপোষের সম্বন্ধ

ছুষ্যস্ত গাছের গুঁড়ির আড়ালে দীড়াইয়া৷ সখীদের সহিত শকুস্তলার কথাবার্তা শুনিতেছেন। অন্ত উত্তম। কথাবার্তা বেশ রসে জমাইয়! বলিয়া যাও! আস্ত গাছের গুঁড়িটা৷ আমার সম্মুখে উপস্থিত না থাকিলেও সেট! আমি ধরিয়া লইতে পারি--এতটুকু স্থজনশক্তি আমার আছে। হুষ্যস্ত-শকুস্তল৷ অনসুয়া-প্রিয়ংবদার চরিত্রান্ুরূপ প্রত্যেক হাবভাৰ এবং কণ্ঠস্বরের প্রত্যেক ভঙ্গী একেবারে প্রত্যক্ষবৎ অনুমান করিয়া লওয়। শক্ত সুতরাং সেগুলি যখন প্রত্যক্ষ বর্তমান দেখিতে পাই, তখন হৃদয় রূসে অভিষিক্ত হস্ব কিন্তু দ্রটো গাছ বা একটা ঘর বা একটা নদী কল্পন! করিয়া লওয়! কিছুই শক্ত নয়, সেটাও আমাদের হাতে না ক্বাখিয়া চিত্রের দ্বারা উপস্থিত করিলে আমাদের গ্রতি ঘোরতর অবিশ্বাস প্রকাশ কর! হয়।

আমাদের দেশের যাত্র/ আমার এজন্ত তাল লাগে। বাত্রার অভি-

১৮ বিচিত্র প্রবন্ধ

নয়ে দর্শক অভিনেতার মধ্যে একটা গুরুতর ব্যবধান নাই পরম্পরের বিশ্বা আহ্কুল্যের প্রতি নির্ভর করিয়া কাজটা বেশ স্ৃদয়তার সহিদ্ধ স্থুসম্পন্ন হইয়া উঠে। কাব্যরস, যেটা আসল জিনিষ, সেইটেই অভি- নয়ের সাহায্যে ফোয়ারার মত চারিদিকে দর্শকদের পুলকিত চিত্তের উপর ছড়াইয়া পড়ে। মালিনী যখন তাহার পুষ্পবিরল বাগানে ফুল খুঁজিয়া বেলা করিয়া দিতেছে, তখন সেটাকে সপ্রমাণ করিবার জন্য আসরের মধ্যে আস্ত আস্ত গাছ আনিয়া ফেলিবার কি দরকার আছে-_-একা| মালিনীর মধ্যে সমস্ত বাগান আপনি জাগিয়া উঠে। তাই যদি না হইবে, তবে মালিনীরই বা কি গুণ, আর দর্শকগুলোই বা কাঠের মুস্তির মত কি করিতে বসিয়া আছে? ্‌ শকুস্তলার কবিকে যদি রঙ্গমঞ্চে দৃশ্ঠপটের কথা ভাবিতে হইত, তবে তিনি গোড়াতেই মুগের পশ্চাতে রথ ছোটান বন্ধী করিতেন। অবশ্ঠ, তিনি বড় কবি-_রথ বন্ধ হইলেক্ট যে তাহার কলম বন্ধ হইত, তাহা নহে _-কিস্ক আমি বলিতেছি, যেটা তুচ্ছ তাহার জন্য যাহা বড় তাহা! কেন নিজেকে কোন অংশে খর্ব করিতে যাইবে? ভাবুকের চিত্তের মধ্যে রঙ্গমঞ্চ আছে, সে রঙ্গমঞ্চে স্থানীভাব নাই। সেখানে যাছকরের হাতে দৃশ্তুপট আপনি রচিত হইতে থাকে সেই মঞ্চ, সেই পটই নাট্যকরের লক্ষ্যস্থল, কোন কৃত্রিম মঞ্চ কৃত্রিম পট কবিকল্পনার উপযুক্ত হইতে পারে না। অতএব যখনধ্দুষ্যস্ত সারথি একই স্থানে স্থির ধীড়াইয়া বর্ণনা অভিনয়ের দ্বারা রথবেগের আলোচনা করেন, সেখানে দর্শক এই অতি জামা কথাটুকু অনায়াসেই ধরিয়া লন যে, মঞ্চ ছোট, কিন্তু কাব্য ছোট নয়; অতএব কাব্যের খাতিরে মঞ্চের এই অনিবার্ধ্য ক্রুটিকে প্রসন্নচিত্ে তাহারা মার্জন! করেন এবং নিজের চিত্রক্ষেত্রকে সেই ক্ষুদ্রীয়তনের মধ্যে গ্রসারিত করিয়া দিয়া মঞ্চকেই মহীয়ান্‌ করিয়া তোলেন। কিন্ত

রঙ্গমঞ্চ ১৯.

অঞ্চের খাতিরে কাব্যকে যদি খাট হইতে হইত, তবে কয়েকটা! হতভাগ্য কাষ্ঠথণ্ডকে কে মাপ করিতে পারিত ?

শকুন্তলা-নাটক বাহিরের চিত্রপটের কোন অপেক্ষা রাখে নাই বলিয়া আপনার চিত্রপউগুলিকে আপনি স্থষ্টি করিয়া লইয়াছে। তাহার কঙ্থা- শ্রম, তাহার স্বর্গপথের মেঘলোক, তাহার মারীচের তপোবনের জন্ত সে আর কাহীরো উপর কোন বরাত দেয় নাই। সে নিজেকে নিজে সম্পূর্ণ করিয়া তুলিয়াছে। কি চরিত্রন্থজনে, কি ম্বভাবচিত্রে নিজের কাব্যসম্পদের উপরেই তাহার একমাত্র নির্ভর

আমর! অন্ত প্রবন্ধে বলিয়াছি, ফুরোপীয়ের বাস্তব সত্য নহিলে নয় করনা যে কেবল তাহাদের চিত্তরঞ্জন করিবে তাহা নয়, কাল্পনিককে অবিকল বাস্তবিকের মত করিয়া বালকের মত তাহাদিগকে তুলাইবে। কেবল কাব্যরসের প্রাণদায়িনী বিশল্যকরণীটুকু হইলে চলিবে না, তাহার সঙ্গে বাস্তবিকতার আস্ত গন্ধমাদনটা পধ্যন্ত চাই। এখন কলিষুগ, স্কতরাং 'গন্ধমাদন টানিয়া আনিতে এঞ্রিনিয়ারিং চাই-_তাহার ব্যয়ও সামান্য নহে। বিলাতের ই্টেজে স্তদ্ধমাত্র এই খেলার জন্য যে বাজে খরচ হয়, ভারতবর্ষের কত অভ্রভেদী ছূর্ভিক্ষ তাহার মধ্যে তলাইক্া যাইতে পারে। |

প্রাচ্যদেশের ক্রিয়া-কর্ম খেলা-আনন্দ সমস্ত সরল-সহজ। কলা- পাঁতীয় আমাদের ভোজ সম্পন্ন হয় বলিয়া ভোজের যাহা প্রকৃততম আনন _ অর্থাৎ বিশ্বকে অবারিতভাবে নিজের ঘরটুকুর মধ্যে আমন্ত্রণ করিয়া আনা__সম্ভবপর হয়। আয়োজনের ভার যদি জটিল অতিরিক্ত হইত, তাবে আদল জিনিষটাই মারা যাইত। ৪.

বিলাতের নকলে আমরা যে থিয়েটার করিয়াছি, তাহা ভারাক্রান্ত একটা স্ফীত পদীর্থ। তাহাকে ন্ডানো শক্ত, তাহাকে আপামর সকলের স্বারের কাছে আনিয়! দেওয়া দুঃসাধ্য )-_তাহাতে লক্ষ্মীর পেচাই সরন্বতীর

২৪ ._ বিচিত্র প্রবন্ধ

পাম্পিস্পাস্পিস্িস্িপীিসসপিসসি পসপিপসটশিশিসাসিপাসসিপসিসপান

পন্মকে প্রায় আচ্ছন্ন করিয়া আছে। তাহাতে কৰি গুণীর প্রতিভার” চেয়ে ধনীর মূলধন ঢের বেশি থাক চাই। দর্শক যদি বিলাতি ছেলে- মানুযিতে দীক্ষিত না হইয়া থাকে এবং অভিনেতার যদি নিজের প্রতি কাব্যের প্রতি যথার্থ বিশ্বান থাকে, তবে অভিনয়ের চারিদিক হইতে তাহার বহুমুল্য বাজে জঞ্জালগুলো ঝাঁট দিয়! ফেলিয়৷ তাহাকে মুক্তিদান গৌরবদান করিলেই সহৃদয় হিন্দুসস্তানের মত কাজ হয়। বাগানকে যে অবিকল বাগান আঁকিয়াই খাড়া করিতে চুহইবে এবং স্ত্রী-চরিত্র অন্ক- ত্রিম স্ত্রালোককে দিয়াই অভিনয় করাইতে হইবে, এরূপ অত্যন্ত সুদ বিলাতি বর্ধরতা পরিহার করিবার সময় আিয়াছে।

মোটের উপরে বল! যাইতে পারে যে, জটিলত| অক্ষমতারই পরিচয় বাস্তবিকতা৷ কাচপোকার মত আর্টের মধ্যে প্রবেশ করিলে তেলা- পোকার মত তাহার অন্তরের সমন্ত রস নিঃশেষ করিয়া ফেলে এবং যেখানে অজীর্ণবশত যথার্থ রসের ক্ষুধার অভাব, সেখানে বহুমূল্য বা প্রাচ্য ক্রমশই ভীষণরূপে বাড়িয়া চলে-_-অবশেষে অন্নকে সম্পূর্ণ আচ্ছন্': করিয়। চাটুনিই স্তপাকার হইয়া উঠে।

১৩০৪

কেকাধ্বনি।

হঠাৎ গৃহপালিত ময়ূরের ডাঁক শুনিয়৷ আমার |বন্ধু বলিয়া উঠিলেন-_

. আমি ময়ুরের ডাক সহ করিতে পারি না) কবিরা কেকারবকে কেন ঘে তাহাদের.কাব্যে স্থান,.দিয়াছেন,£বুঝিবার.জো*নাই।

কবি যখন বসস্তের,কুহুন্বর এবং & বর্ধার কেকা--ছুটাকেই :. সমান

কেকাধ্বনি। ২১

আদর দিয়াছেন, তখন হঠাৎ মনে হইতে পারে, কবির বুঝিবা কৈবল্যদশা প্রাপ্তি হইয়াছে, তাহার কাছে ভাল মন্দ, ললিত কর্কশের ভেদ লুপ্ত। কেবল কেকা কেন, ব্যাঙের ডাক এবং বিল্লীর বঙ্কারকে কেহ মধুর বলিতে পারে না। অথচ কবিরা শবগুলিকেও উপেক্ষা করেন নাই। প্রেয়পীর কণ্ঠম্বরের সহিত ইহাদের তুলনা করিতে সাহস পান নাই, কিন্তু ষড় খতুর মহাসঙ্গীতের প্রধান অঙ্গ বলিয়! তাহারা ইহাদিগকে সন্মান দিয়াছেন। একপ্রকারের মিতা আছে, তাহা নিঃসংশয় মিষ্ট, নিতান্তই মিষ্ট। তাহা নিজের লাঁলিত্য সপ্রমাঁণ করিতে মুহূর্তমাত্র সময় লয় না। ইন্ত্িয়ের অসন্দিগ্ধ সাক্ষ্য :লইয়া, মন তাহার সৌনরধ্য শ্ীকার করিতে কিছুমাত্র তর্ক করে না। তাহা আমাদের মনের নিজের আবিষ্কার নহে-- ইন্জ্িয়ের নিকট হইতে পাওয়া; এইজন্য মন তাহাকে অবজ্ঞা করে) বলে, নিতীস্তই মিষ্ট, কেবলি মি্ট। অর্থাৎ উহার মিষ্টতা বুবিতে অন্তঃকরণের কোন প্রয়োজন হয় ন1, কেবলমাত্র ইন্দরিয়ের দ্বারাই বোঁঝা যায়। যাহার! গানের সমজ্দাঁর, এইজন্তই তাহার! অত্যন্ত উপেক্ষা প্রকাশ করিয়! বলে, অমুক লোক মিষ্ট গান করে। ভাবটা এই যে, মিষ্ট গায়ক গানকে আমাদের ইন্দ্রিয়সভায় আননয়! নিতান্ত স্থলভ প্রশংসা! দ্বারা অপমা- নিত করে;-_মার্জিত রুচি শিক্ষিত মনের দরবারে সে প্রবেশ করে প্া। যে লৌক পাটের অভিজ্ঞ যাচনদার সে রসসিক্ত পাট চায় না) সে বলে, 'ামাকে শুকৃনো পাট দাও, তবেই আমি ঠিক ওজনটা বুঝিব। গানের উপযুক্ত সমজ্দার বলে, বাঁজে রস দিয় গানের বাজে গৌরব বাড়'ইও নাঁ, _ আমাকে শুক্‌নো মাঁল -দাও, তবেই আমি ঠিক ওজনটি পাইব, আমি খুসি হইয়| ঠিক দাঁমটি চুকাইয়া দিব। বাহিরের বাজে মিষ্টতায় আসল জিনিষের মূল্য নামাইয়া দেয়।

-হ্২ বিচিত্র প্রবন্ধ

পাম্প সিনা সস পাসিপাসমিপাসপাসীসএ্ডিলাস্পামিপাসপাসপপাসিপাসিল সপাস্টিলামপিসছিলামিপাসিপািল পি পাস লাস পা্ছিলা সি

যাহা সহজেই মিষ্ট, তাহাতে অতি শীঘ্ব মনের আলম্ত আনে, বেশি- ক্ষণ মনোযোগ থাকে না। অবিলম্বেই তাহার সীমায় উত্তীর্ণ হইয়া মন বলে, আর কেন ঢের হইয়াছে !

এই জন্ত যে লোক যে বিষয়ে বিশেষ শিক্ষা লাভ করিয়াছে, সে তাহার গোড়ার দিকৃকার নিতান্ত সহজ ললিত অংশকে আর খাতির করে না। কারণ সেটুকুর সীমা সে জানিয়া৷ লইয়াছে; সেটুকুর দৌড় যে বেশিদুর নহে, তাহা সে বোঝে ; এইজন্য তাহার অন্তঃকরণ তাহাতে, জাগে না। অশিক্ষিত সেই সহজ অংশটুকুই বুঝিতে পারে, অথচ তখনো সে তাহার সীমা পায় না-_এইজন্তই দেই অগভীর অংশেই তাহার একমাত্র আনন্দ। সমজ্দারের আনন্দকে সে একটা কিন্তৃত' ব্যাপার বলিয়া মনে করে, অনেকসময় তাহাকে কপটতার আড়স্কর বলিয়াও গণ্য করিয়া! থাকে।

এইজন্যই সর্বপ্রকার কলাবিগ্যাসম্বন্ধে শিক্ষিত অশিঙ্গিতের আনন ভিন্ন ভিন্ন পথে যায়। তখন এক পক্ষ বলে, তুমি কি বুঝিবে! আর এক পক্ষ রাগ করিয়া বলে, যাহা বুঝিবার তাহা কেবল তুমিই বৌঝ, জগতে আর কেহ বোঝে না!

একটি সুগভীর সামঞ্জস্তের আনন্দ, সংস্থান-সমাবেশের আনন্দ, সরবর্তীর সহিত বোগ-সংযোগের আনন্দ, পার্বন্তীর সহিত বৈচিত্র্যসাধনের আনন্দ--এইগুলি মানসিক আনন্দ ভিতরে প্রবেশ না করিলে, না বুঝিলে,। আনন্দ ভোগ করিবার উপায় নাই। উপর হইতেই চট্ট করিয়া যে সুখ .পাওয়া যায়, ইহা তাহা অপেক্ষা স্থায়ী গভীর

এবং এক হিসাঁবে তাহা অপেক্ষা ব্যাপক যাহা অগভীর, লোকের শিক্ষাবিস্তারের সঙ্গে-_ অভ্যাসের সঙ্গে ক্রমেই তাহা ক্ষয় হইয়া তাহার রিক্তত! বাহির হইয়া! পড়ে। যাহা গভীর, তাহা! আপাতত বহুলোকের

কেকাধ্বনি। ২৩

পস্পাস্নদ পাস সিসি পাপা সিবাসপিসপাসিপাসপাাসটিপাসিসপিসসিপসপাসিপাস,

গম্য না হইলেও বন্ৃকাল তাহার পরমাযু থাকে-_তাহার মধ্যে যে একটি শ্রেষ্টতার আদর্শ আছে, তাহা সহজে জীর্ণ হয় না।

জয়দেবের “ললিতলবঙ্গলতা” ভাল বটে, কিন্তু বেশিক্ষণ নহে। ইন্দ্রিয় তাহাকে মন মহারাজের কাছে নিবেদন করে, মন তাহাকে একবার স্পর্শ করিয়াই রাখিয়! দেয়-_-তখন তাহা ইন্দ্রিয়ের ভোগেই শেষ

হইয়া যায়। ললিতলবঙ্গলতার পার্থ কুমারসম্তবের একটা প্লোক ধরিয়া দেখা যাকৃ £--

সস্পীনমি পপি পান পা উপ

1 দপাাসছিপাসমপাছি সি

আবর্জজিত| কিঞ্চদিব গুনাত্যাং

বানো বসান তন্ুণাকরাগম্‌।

গধাাপ্তপু্ান্ত বকাবনজ।

মঞ্চারিণা গল্লবিনী লতেব | ছন্দ আলুলারিত নহে, কথাগুলি যুক্তাক্ষরবহুল,-তবু ভ্রম হয়, এই শ্লোক ললিতলবঙ্গলতার অপেক্ষা কানেও মিষ্ট শুনাইভেছে। কিন্তু তাহা ভ্রম। মন নিজের স্থজনশক্তির দ্বারা উন্ধিরস্ুথ পূরণ করিয়া দিতেছে যেখানে লোলুপ ইন্দিরগণ ভিড করিয়া না দীড়ার, মন এইরূপ জনের অবসর পায়। “পধ্যাপ্তপুপ্পস্তবকাবনমা” ইহার মধ্যে লয়ের যে উতবান-জ্গাছে, কঠোরে কোমলে বথামথরূপে মিশ্রিত হইয়া ছন্দকে যে দোলা দিয়াছে, ভাহা জর়দেবী লয়ের মত অতিপ্রত্যক্ষ নহে তাহা নিগুঢ়; মন তাহা আলগ্তভরে পড়িয়া পায় না, নিজে আবিফার করিয়া লইয়! খুসি হয় | এই শ্লোকের মধ্যে যে একটি ভাবের সৌন্দর্য, তাহাঁও আমাদের মনের সহিত চক্রান্ত করিয়া অশ্রতিগম্য একটি সঙ্গীত রচনা করে__সে সঙ্গীত সমস্ত শবসঙ্গীতকে ছাড়াইয়া৷ চলি যায়, মনে হয়, যেন কান জুড়াইয়! গেল_কিন্তু কান জুড়াইবার কথা নহে, ,আনসী মায়ায় কানকে প্রতারিত করে

আমাদের এই মীয়াবী মনটিকে স্থজনের অবকাশ না প্লিলে, সে

২৪ , বিচিত্র গ্রবন্ধ |

নসর সপ্ন ৯-পাস সা িপানপস্পাসপাস্পিসিপ

কোন মিষ্টতাকেই বেশিক্ষণ মিষ্ট বলিয়া গণ্য করে না। সে উপযুক্ত উপকরণ পাইলে কঠোর ছন্দকে ললিত, কঠিন শব্কে কোমল করিয়! তুলিতে পারে। সেই শক্তি খাটাইবার জন্য সে কবিদের কাছে অনুরোধ প্রেরণ করিতেছে। কেকারব কানে শুনিতে মিষ্ট নহে, কিন্তু অবস্থাবিশেষে, সময়- বিশেষে মন তাহাকে মিষ্ট করিয়া শুনিতে পারে, মনের সেই ক্ষমতা আছে। সেই মিষ্টতার স্বরূপ, কুহুতানের ' মিষ্টতা হইতে স্বতন্্। নব- বর্ষাগমে গিরিপাদমূলে লতাঁজটিল প্রাচীন মহারণ্যের মধ্যে যে মন্ততা উপস্থিত হয়, কেকারব তাহীরি গান। আধা়ে শ্ামায়মান তমাল-তালী- বনের 'দ্বিগুণতর ঘনারিত অন্ধকারে, মাতৃত্তন্তপিপাস্ ইউদ্ধবাহু শতসহন্র শিশুর মত অগণ্য শাখাগ্রশাখার আন্দোলিত মন্্ররমুখর মহোলীসের মধ্যে রহিয়া রহিয়! কেকা তারস্বরে যে একটি কাস্তক্রেস্কার ধ্বনি উত্থিত করে, তাহাতে প্রবীণ বনম্পতিমণ্ডলীর মধ্যে আরণ্য মহোৎ্সবের প্রাণ জাগিয়। উঠে। কবির 'কেকারব সেই বর্ষার গান,কান তাহার মাধুর্য জানে না, মনই জানে সেইজন্যই মন তাহাতে অধিক মুগ্ধ হয়। মন তাহার সঙ্গে সঙ্গে আরেো। অনেকখানি পায় ;--সমস্ত মেঘাবৃত আকাশ, ছায়াবৃত অরণ্য, নীলিমাচ্ছর গিরিশরিখর, বিপুল মৃঢ় প্রকৃতির অব্যক্ত অন্ধ আনন্দরাশি। | বিরহিণীর বিরহবেদনার সঙ্গে কবির কেকারব এইজন্ই জড়িত। তাহা! শ্রুতিমধুর বলিয়া পথিকবধুকে ব্যাকুল করে না_তাহা' সমস্ত বর্ষার মন্ষ্োদঘাটন করিয়া দেয়। নরনারীর প্রেমের মধ্যে একটি অত্যন্ত আদিম প্রাথমিক ভাব আছে-_তাহা বহিঃপ্রক্কৃতির অত্যন্ত নিকটবর্তী, তাহা জল- স্থল আকাশের গায়ে সংলগ্ন বড়খতু আপন পুষ্পপর্য্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রেমকে নানীরঙে রাঙাইয়। দিয়া যায়। যাহাতে পল্লবকে স্পন্দিত, নদীকে তরঙ্গিত, শন্ত শীর্ষকে হিল্লোলিত করে, তাহা ইহাকেও অপূর্ব

কেকাধ্বনি | ২৫.

স্টপ পাপা লা লালা সিসি পাস

চাঞ্চল্যে আন্দোলিত করিতে থাকে পূর্ণিমার কোটাল ইহাকে ন্বীত করে এবং সন্ধ্যাত্রের রক্তিমায় ইহাকে লজ্জীমপ্ডিত বধূবেশ পরাইয়া দেয়। এক-একটি খতু যখন আপন সোনার কাঠি লইয়া প্রেমকে স্পর্শ করে, তখন সে রোমাঞ্চকলেবরে না৷ জাগিয়৷ থাকিতে পারে না। সে অরণ্যের পুষ্প- পল্পবেরই মত প্ররুতির নিগৃঢুষ্পর্শাধীন। সেই জন্য যৌবনাবেশবিধুর কালিদাস ছয় খতুর ছয় তারে নরনারীর প্রেম কি কি স্থরে বাজিতে থাকে, তাহাই বর্ণনা করিয়াছেন_-তিনি বুঝিয়াছেন, জগতে খত আবর্তনের সর্বপ্রধান কাজ প্রেম-জাগান ;-_ফুল-ফুটানো প্রভৃতি অন্য সমন্তই তাহার আহ্ৃষঙ্গিক তাই যে কেকাঁরব বর্ষাখতুর নিখাদ স্থর, তাহার আঘাত বিরহবেদনার ঠিক উপরে গিয়াই পড়ে বিগ্যাপতি লিখিয়াছেন-__ মত্ত দাদুরী ডাকে ডাহকী ফাটি যাওভ ছাতিয়।।

এই ব্যাঙের ডাক নববর্ষার মত্তভাবের সঙ্গে নহে, ঘনবর্ষার নিবিড় ভাবের সঙ্গে বড় চমতকার খাপ খায়। মেঘের মধ্যে আজ কোন বর্ণ বৈচিত্র্য নাই, স্তরবিষ্তাস নাই,শচীর কোন প্রাচীন কিস্করী আকাশের প্রাঙ্গণ মেষ দিয়া সমান করিয়া লেপিয়া দিয়াছে, সমস্তই কৃষ্ণধূসর বর্ণ। নানাশস্ত- বিচিত্রা পৃথিবীর উপরে উজ্জল আলোকের তুলিকা পড়ে নাই বলিয়। বৈচিত্র ফুটিয়া ওঠে নাই। ধানের কোমল মস্থণ সবুজ, পাটের গাঢ় বর্ণ এবং ইক্ষু হরিদ্রাভা একটি বিশ্বব্যাপি-কালিমায় মিশিয়া আছে। বাতাস নাই। আসন্ন-বৃষ্টির আশঙ্কায় পঞ্চিল পথে লোক বাহির হয় নাই। মাঠে বহুদিন পূর্বে ক্ষেতের কাজ সমস্ত শেষ হইয়া গেছে। পুকুরে পাঁড়ির সমান জল। এইরূপ জ্যোতিহীন, গতিহীন, কর্মহীন, বৈচিত্র্যহীন, কালিমালিপ্ত একা- কারের দিনে ব্যাঙের ডাক ঠিক স্থরটি লাগাইয়া থাকে। তাহার স্বর বর্ণহীন মেঘের মত, এই দীপ্তিশুন্য আলোকের মত, নিস্তদ্ধ

২৬ বিচিত্র প্রবন্ধ

সিসি পিসি

নিবিড় বর্ষাকে ব্যাপ্ত করিয়া রিয়া দিতেছে) বর্ধার গণ্ডিকে আরো! "ঘন করিয়া চারিদিকে টানিয়া দিতেছে তাহা নীরব্তার অপেক্ষাও এক- ঘেয়ে। তাহা নিভৃত কোলাহল। ইহার সঙ্গে বিল্লীরব ভালরূপ মেশে ; কাঁরণ যেমন মেঘ, যেমন ছায়া, তেমনি বিল্লীরবও আর-একটা আচ্ছাদন- বিশেষ; তাহা ম্বরমগুলে অন্ধকারের প্রতিরূ্প ; তাহা বর্ষা-নিশীথিনীকে সম্পূর্ণতা দান করে।

১৩০৮

পিচ

বাজে কথা

অন্ত খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মান্থুষকে যথার্থ চেনা যাঁয়। কারণ, মানুষ ব্যয় করে বীধা নিয়ম অনুসারে, অপব্যয্ করে নিজের খেয়ালে

যেমন বাঁজে খরচ, তেমনি বাজে কথা। বাজে কথাতেই মানুষ আপনাকে ধরা দেয়। উপদেশের কথা যে রাস্তা দিয়া চলে, মনু আমল হইতে তাহা বাধা, কাজের কথা যে পথে আপনার গো-যান টানিয়া আনে, সে পথ কেজো সম্প্রদায়ের পায়ে পায়ে তৃণপুষ্পশৃদ্ধ চিহ্রি হইয়া গেছে বাজে কথ! নিজের মত করিয়াই বলিতে হয়।

এইজন্ত চীণক্য ব্যক্তিবিশেষকে যে একেবারেই চুপ করিয়া যাইতে বলিয়াছেন, সেই কঠোর বিধানের কিছু পরিবর্তন করা যাইতে পারে; আমাদের বিবেচনায় চাণক্যকথিত উক্ত ভদ্রলোক “তাবচ্চ শোভতে' যাবৎ তিনি উচ্চ অঙ্গের কথা বলেন, যাবৎ তিনি আবহমান কালের পরীক্ষিত সর্বজনবিদিত সত্য ঘোষণায় প্রবৃন্ত থাকেন_কিস্ত তখনি তাহার বিপদ্‌ খনি তিনি সহজ কথা নিজের ভাষায় বলিবার চেষ্টা করেন।

যে লোক একটা বলিবার বিশেষ কথা না থাকিলে কোন কথাঃ

কথা।

পাটি পা পাপা লি তিশা, পাপা পাম পাসিপািপসিপস্বিণ সসিলাপানলা পালি স্পস্ট » লা সপাছরসিপাসপি পোসািলাসিলী* লস পাল

বলিতে পারে না) হয় বেদবাক্য বলে, নয় চুপ করিয়া থাকে; হে চতুরানন, তাহার কুটুষ্ষিতা, তাহার সাহচর্য্য, তাহার প্রতিবেশ_- শিরসি মা লিখ, মা লিখ, মা লিখ!

পৃথিবীতে জিনিষমী ত্রই প্রকাশধর্্সী নয়। কয়লা আগুন ন1 পাইলে জলে না, স্ফটিক অকারণে ঝকৃঝকৃ করে। কয়লায় বিস্তর কল চলে, স্কটিক হার গিয়া প্রিয়জনের গলায় পরাইবার জন্ত কয়লা আবস্তাক, স্কটিক মৃল্যবান্।

এক একটি ছুলভ মানুষ এইরূপ স্ফটিকের মত অকারণ ঝল্মল্‌ করিতে পারে। সে সহজেই আপনাকে প্রকাশ করিয়া থাকে-_তাহার কোন বিশেষ উপলক্ষ্যের আবশ্তক হয় না। তাহার নিকট হইনে কোন বিশেষ প্রয়োঞ্জন সিদ্ধ করিয়া লইবার গরজ কাহারো থাকে না _সে অনায়াসে আপনাকে আপনি দেদীপ্যমান করে, ইহ দেখিয়াই আনন্দ। মানুষ, প্রকাশ এত ভালবাসে, আলোক তাহার এত প্রিয় যে, আবশ্তককে বিসঙ্জঈন দিয়া, পেটের অন্ন ফেলিয়াও উজ্জ্রলতার জন্য লালারিত হইয়া উঠে। এই গুণটি দেখিলে, মানুষ যে পতঙ্গতেঠ, সে সম্বন্ধে সনোহ থাকে না। উজ্জল চক্ষু দেখিয়া যে জাতি অকারণে প্রাণ দিতে পারে, তাহার পরিচয় বিস্তারিত করিয়া দেওয়! বাহুল্য

কিন্তু মকলেই পতঙ্গের ডান! লইয়া জন্মায় নাই। জ্যোঁতির মোহ সকলের নাই। অনেকেই বুদ্ধিমান, বিবেচক। গুহা" দেখিলে তাহার! গতীরতার মধ্যে তলাইতে চেষ্টা করেন, কিন্তু আলো! দেখিলে উপরে উড়িবার ব্যর্থ উদ্ঘমমাত্রও করেন না। কাব্য দেখিলে ইহারা প্রশ্ন করেন ইহার মধ্যে লাভ করিবার বিষয় কি আছে, গন্প শুনিলে অষ্টাদশ সংহিতার সচ্চিত মিলাইয়। ইহারা ভূয়সী গবেষণার সহিত বিশ্তদ্ধ ধর্মমন্তে ছুয়ো বা বাহবা দিবার জন্ত গ্রস্তত হইয়া বসেন। যাহা অকারণ, যাহা ্মনীবশ্তক, তাহার প্রতি ইহাদের কোন লোভ নাই।

২৮ বিচিত্র প্রবন্ধ |

যাহারা আলোক-উপাস্ক, তাহারা এই সম্প্রদায়ের প্রতি অঙ্থরাগ 'প্রকাশ করে নাই। তাহারা ইহাদিগকে যে সকল নামে অভিহিত করিয়াছে, আমরা তাহার অনুমোদন করি না। বররুচি ইহার্দিগকে "্অরমিক বলিয়াছেন, আমাদের মতে ইহা কুচিগহিত। আমর! ইহাদিগকে যাহা মনে করি, তাহা মনেই রাখিয়া দিই। কিন্তু প্রাচীনের মুখ সাম্লাইয়! কথা কহিতেন না-_তাহার পরিচয় একটি [সংস্কতশ্লোকে পাই ইহাতে ৰল! হইতেছে, সিংহনথরের দ্বারা উৎপাটিত একটি গজমুক্তা বনের মধ্যে পড়িয়াছিল, কোন ভীলরমণী দূর হইতে দেখিয়। ছুটিয়! গিয়! তাহা তুলিয়া 'লইল--যখন .টিপিয়া দেখিল তাহা .পাকা কুল নহে, তাহ মুক্তা মাত্র তখন দুরে ছুঁড়িয়া ফেলিল। ম্প্টই বুঝা যাইতেছে, প্রয়োজনীয়তা- বিবেচনায় ধাহারা সকল জিনিষের মূল্যনির্ারণ করেন, শুদ্বমাত্র সৌন্দর্য্য উজ্জ্লতাঁর বিকাশ ধাহাদিগকে লেশমাত্র বিচলিত করিতে পারে না, কবি বর্ধরনারীর সহিত তাহাদের তুলনা দিতেছেন। আমাদের বিবেচনায় কবি ইহাদের সম্বন্ধে নীরব থাকিলেই ভাল করিতেন--কারণ, সঁহারা ক্ষমতাশালী লোক, বিশেষত, বিচারের ভার প্রায় ইহাদেরই হাতে ইহার গুরুমহীশয়ের কাজ করেন। যাহারা সরম্বতীর কাব্যকমলবনে বাস করেন, তাহারা! তটবর্তী বেত্রবনবাসীদ্দিগকে উদ্ে- জিত না করুন, এই আমার প্রার্থন!। |

সাহিত্যের যথার্থ বাজে রচনাগুলি কোন বিশেষ কথা বলিবার স্পর্ধা রাখে না সংস্কৃতসাহিত্যে মেঘদূত তাহার উজ্জল দৃষ্টাস্ত। তাহা! ধর্মের কথা নহে, কর্মের কথ! নহে, পুরাণ নহে, ইতিহীস নহে। যে অবস্থায় মানুষের চেতন-অচেতনের বিচার লোপ পাইয়া যায়, ইহা সেই অবস্থার প্রলাপ। ইহাকে যদি কেহ বদরীফল মনে করিয়া পেট তরাইবাঁর আশ্বাসে তুলিয়! লন, তবে তখনি ফেলিয়া দিবেন। ইহাতে প্রয়োজনের কথ! কিছুই নাই। ইহা নিটোল মুক্তা, এবং ইহাতে

বাজে কথা।

পিপিপি সা পিসি

বিরহীর বিদীর্ণ হৃদয়ের রক্তচিহ কিছু লাগিয়াছে, কিন্তু সেটুকু মুছিয় ফেলিলেও ইহার মুল্য কমিবে না।

ইহার কোন উদ্দেশ্ত নাই বলিয়াই কাব্যখানি এমন শ্বচ্ছ, এমন উজ্ভ্রল। ইহা একটি মায়াতরী )--কল্পনার হাঁওয়ায় ইহার সজল মেঘ- নির্শিতি পাল ফুলিয়া উঠিয়াছে এবং একটি বিরহীর হৃদয়ের কামনা বহন করিয়া! ইহা অবারিতবেগে একটি অপরূপ নিরুদ্দেশের অভিমুখে ছুটিয়া চলিয়াছে-_আর-কোন বোঝা ইহাতে নাই।

টেনিস্‌ন্‌ যে